শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৫৬ পূর্বাহ্ন
মনির হোসেন , জবি: বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিইচ্ছু শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি লাঘবের লক্ষ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বিগত ৩ বছর গুচ্ছ পদ্বতিতে ভর্তি প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে। কিন্তু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় যথাসময়ে আসন পূরণ করে একাডেমিক সেশন শুরু না হওয়াসহ নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। এতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আকাঙ্খিত মান ক্রমাগত নিম্নগামী বলে শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ সর্বমহলে প্রতীয়মান হচ্ছে। উপরন্তু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির দাবি অনুযায়ী গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতির সীমাবদ্ধতাগুলো অদ্যবধি নিরসন হয়নি।
বিগত বছবের ন্যায় ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষেও ভর্তি প্রক্রিয়া দীর্ঘসূত্রিতা হবে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে: ফলে জুলাই ২০২৪ এর মধ্যে একাডেমিক সেশন শুরু করা কোনভাবেই সম্ভব নয়। এতে দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ হারাবে এবং ক্ষতিগ্রস্থ হবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঙ্ক্ষিত শিক্ষা কার্যক্রম। গত ২০২৩ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়া থেকে বের হয়ে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থী ভর্তির সিদ্ধান্তে অটল ছিল। যদিও অবদি মহামান্য রাষ্ট্রপতির অভিপ্রায়ে ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষ হতে দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে একক ভর্তি প্রক্রিয়ার শর্তে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়ায় শেষবারের মত অংশ নিয়েছিল। কিন্তু অতীব দুঃখের সাথে পরিলক্ষিত হচ্ছে যে, এ বছর মহামান্য রাষ্ট্রপতির সেই অভিপ্রায় রক্ষিত হয়নি।
উল্লেখ্য যে, গত বছরের গুচ্ছভুক্ত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া গুচ্ছের সীমাবদ্ধতা দূর না হওয়ায় একাডেমিক কাউন্সিলের সর্বসম্মতভাবে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নীলদল” মনে করি আমাদেরও নিজস্ব ভর্তি প্রক্রিয়ায় প্রত্যাবর্তন অতীব জরুরি।এমতাবস্থায়, “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নীলদল” জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান সম্মুন্নত রাখতে, সেশনজটমুক্ত উচ্চশিক্ষা নিশ্চিতকরণ ও স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে সঠিক সময়ে একাডেমিক সেশন শুরু করার প্রত্যয়ে সকল শিক্ষকদের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী নিজস্ব প্রক্রিয়ায় ২০২৩-২০২৪ সালের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্নের জোর দাবি জানাচ্ছি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নীল দলের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ নূরে আলম আব্দুল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড.মো মোমেন উদ্দিন স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।